স্মার্ট কার্ড চেক ও ডাউনলোড(Smart NID Status Check) করা বর্তমান সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভোটার আইডি কার্ড চেকিং বা চেক করার মাধ্যমেই জানা যায় ভোটার আইডি কার্ডটি আসল নাকি নকল। বর্তমানে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে খুব সহজেই অবিকল আসল ভোটার আইডি কার্ডের মতোন নকল ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করা যায়। এটিকে যাচাই করার একমাত্র উপায় হলো NID Card Check বা ভোটার আইডি কার্ড চেক।
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড (Smart NID Status Check) দেখার জন্য আপনাকে বেশকিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। আপনি যদি আপনার মোবাইল ফোন দিয়ে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রটি দেখতে চান তো এই প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ। আপনার আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার জন্য আপনার মোবাইলে যেকোনো একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল থাকতে হবে। তারপর আপনাকে Google Play Store থেকে NID Wallet নামে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। তারপর বাংলাদেশ নির্বাচন অফিসের কার্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার মুখমণ্ডল ভেরিফাই করলে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রটি দেখতে পাবেন।
Smart NID Status Check করতে যা প্রয়োজন
ভোটার আইডি কার্ড চেকিং করার জন্য খুব বেশী তথ্যর প্রয়োজন নেই। মূল আইডি কার্ড সাথে থাকলে সেখান থাকা তথ্যসমূহের মাধ্যমে এটিকে চেক করে নিতে পারবেন। এটি চেক করতে যা যা প্রয়োজন –
- ভোটার আইডি কার্ড নাম্বারঃ ভোটার আইডি কার্ডে আপনি একটি সংখ্যা দেখতে পাবেন। এটি ১০ ডিজিটের একটি সংখ্যা। এ সংখ্যাটিকে ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার বলা হয়ে থাকে। আইডি কার্ড চেক করার জন্য এই নাম্বারটির প্রয়োজন পড়বে।
- জন্ম তারিখঃ ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বারের পাশাপাশি আরেকটি যে তথ্যর প্রয়োজন হবে তা হলো জন্ম তারিখের। ভোটার আইডি কার্ডের আপনি জন্ম তারিখ লেখা পেয়ে যাবেন।
এই দুটি তথ্য থাকলে আপনি অতি সহজে ভোটার আইডি কার্ড সহজেই চেক করে নিতে পারবেন। এবার চলুন জেনে নেই কিভাবে এটিকে চেক করতে হবে।
Smart NID Status Check করার ধাপ
যেহেতু প্রতিটা মানুষের জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র খুব দরকারি একটা কার্ড, এই কার্ডটি আপনাদের চেক করে দেখা উচিত কোথাও ভুল হয়েছে কিনা। আপনার এই কার্ডটি ভুল হয়ে থাকলে সাথে সাথে অনলাইনের মাধ্যমেই আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন খুব সহজেই। একবার কার্ডটি ইস্যু হয়ে গেলে পুনরায় রিইস্যু করার জন্য অনেক ঝামেলা এবং সময় সাপেক্ষ ব্যাপার, খরচের কথা নাহয় বাদ দিলাম।
আপনার কার্ডটি একবার ইস্যু হয়ে গেলে তা পুনরায় রিইস্যু করার জন্য টাকার দরকার পড়বে। একটি তথ্য কেবলমাত্র একবার পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন। যদি সংশোধন করার পর যদি আবার নতুন করে সংশোধনের কোনো সুযোগ থাকবেনা। তাই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করে নেওয়া উচিত। নিচে কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করবেন তার কয়েকটি ধাপ আলোচনা করা হলো।
১. প্রথম ধাপঃ NID Wallet ডাউনলোড – smart nid bd
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার জন্য আপনাকে সবার আগে যে কাজটা করে নিতে হবে তা হলো আপনাকে আপনার মোবাইল দিয়ে Google Play Store থেকে NID Wallet নামের এন্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। এর জন্য আপনাকে আপনার মোবাইলের Google Play Store চালু করতে হবে। তারপর Google Play Store এর সার্চবারে NID Wallet লিখে সার্চ করতে হবে। আপনার সামনে যে অ্যাপটি আসবে তা আপনাকে ডাউনলোড করে নিতে হবে। আপনি যদি NID Wallet অ্যাপটি আপনার মোবাইলে ডাউনলোড করে থাকেন, তাহলে নিচের চিত্রের মতো দেখাবে।
আপনি যদি NID Wallet অ্যাপটি আপনার মোবাইল ফোনে ইন্সটল করে থাকেন, তাহলে আপনার একটা কাজ হয়ে গেলো। এখন আপনি NID Wallet অ্যাপটি চালু করে যাকিছু আপনার মোবাইল থেকে পার্মিশন চাইবে তা দিয়ে দিতে হবে। সবকিছু পার্মিশন দিয়ে দেওয়ার পর অ্যাপটি বন্ধ করেন, এরপর পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন।
২. দ্বিতীয় ধাপঃ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – nid smart card status
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার এই ধাপে আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কার্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এর জন্য আপনাকে যেকোন একটি ওয়েব ব্রাউজার চালু করতে হবে। আপনার মোবাইল ফোনটি যদি এন্ড্রয়েড মোবাইল হয়ে থাকে তাহলে আপনার ফোনে Google Chrome নামে অ্যাপটি অবশ্যই থাকবে। চলুন Google Chrome চালু করি। Google Chrome এর সার্চবারে ❝NIDGOVBD❞ লিখে সার্চ করলে নিচের চিত্রের মতো সার্চ ফলাফল আসবে। তারমধ্যে থেকে ❝services.nidw.gov.bd❞ অথবা ❝nidgovbd.com❞ যেকোন একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার এই ধাপে আপনি ধরলাম ❝services.nidw.gov.bd❞ এই লিংকে প্রবেশ করেছেন। এই লিংকে প্রবেশ করলেই আপনাকে পরবর্তী ধাপে গিয়ে পরবর্তী কাজ করতে হবে।
বিঃদ্রঃ আপনার সামনে যদি অন্য ওয়েবসাইটের লিংক আসে, তবে আপনি অন্য লিংকে না গিয়ে উপরের দেখানো লিংকে প্রবেশ করবেন। আপনি যদি অন্য লিংকে প্রবেশ করেন তাহলে ঐ ওয়েবসাইটের লিংক ঘুরে আবার এই ওয়েবসাইটে নিয়ে আসবে।
৩. তৃতীয় ধাপঃ একাউন্ট রেজিষ্ট্রার – nid smart card online copy
উপরিউক্ত ১,২ নং ধাপে আমরা দেখলাম কিভাবে আমরা NID Wallet এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবো। জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার এই ধাপে আমরা দেখবো কিভাবে উক্ত ওয়েবসাইটে একাউন্ট তৈরি করতে হয়। আপনি যখন বাংলাদেশ সরকারের নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন, সেখানে আপনি দুইটি অপশন পাবেন। একটি অপশন দিয়ে আপনি নতুন ভোটার হিসেবে হালনাগাত করতে পারবেন এবং আরেকটি অপশন দিয়ে আপনি রেজিষ্ট্রার / নিবন্ধন করতে পারবেন। যেহেতু আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করতে চাচ্ছেন, তাই আপনাকে ❝রেজিষ্ট্রার করুণ❞ এই অপশনে ক্লিক করতে হবে। তার ফলে আপনি পরবর্তী ধাপে চলে যাবেন। এই ধাপে আপনি নিচের মতো একটি ওয়েবপেজ দেখতে পাবেন।
উপরিউক্ত ধাপে যখন আপনি বাংলাদেশ সরকারের নির্বাচন কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন তখন আপনি চাইলে বাংলা অথবা ইংরেজি ভার্সন সিলেক্ট করতে পারবেন। যেহেতু আমি বাঙ্গালি তাই আমি বাংলা ভার্সন ব্যবহার করছি।
৪. চতুর্থ ধাপঃ জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার এবং জন্ম তারিখ (Voter ID Card Check)
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার উপরিউক্ত ধাপগুলোতে আপনারা দেখলেন কিভাবে আপনারা নির্বাচন অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হয়। প্রবেশ করার পর আপনি কোন লিংকে প্রবেশ করবেন তা বলা হলো। জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার এই ধাপে আমরা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর / ফর্ম নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিয়ে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর / ফর্ম নম্বর এবং জন্ম তারিখ অবশ্যই ইংরেজি বসাতে হবে। এই সকল তথ্য বসানোর পর আপনি আরেকটা অপশন পাবেন, যেখানে আপনাকে একটা ক্যাপচা কোড বসাতে হবে। সঠিক ও নির্ভুলভাবে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর / ফর্ম নম্বর এবং জন্ম তারিখ বসানোর পর সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে আপনি পরবর্তী আরেকটা ওয়েবপেজে প্রবেশ করবেন। উপরে আমি যা বললাম তা করলে আপনি নিচের মতো একটা ওয়েবপেজ পাবেন।
আপনার যদি জাতীয় পরিচয়পত্র থাকে এবং অনলাইন অ্যাকাউন্ট না করে থাকেন তাহলে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর অথবা ফর্ম নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিয়ে রেজিস্টার করতে পারবেন। এরপরে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারবেন।
৫. পঞ্চম ধাপঃ ভোটারদের ঠিকানা ভেরিফিকেশন (Voter ID Card Check)
আমরা মনে করি আপনারা খুব গুরুপ্তপূর্ণ কয়েকটা ধাপ পার হয়ে গেছেন। এই ধাপগুলো অতিক্রম করার পর যখন আপনি এই ধাপে প্রবেশ করবেন, তখন আপনার ঠিকানার ভেরিফিকেশন চাইবে। জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার এই ধাপে আপনাদেরকে নিজের স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা প্রবেশ করাতে হবে। বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার এই ধাপে আপনাকে আপনার বিভাগ, জেলা ও উপজেলা সিলেক্ট করতে হবে। এই ধাপটি সঠিক ও নির্ভুলভাবে না বসালে আপনি কখনোই পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করতে পারবেন না। কারণ, এই ধাপে আপনার প্রবেশ করানো ভোটার আইডি কার্ডের ফর্মের সাথে বা জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বারে সাথে চেক করে দেখবে যে সবকিছু ঠিক আছে কিনা। সবকিছু ঠিক থাকলে আপনি পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করতে পারবেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার এই ধাপে আমরা এই ধাপে যদি আপনারা আপনার তথ্যগুলো সঠিকভাবে না বসান তাহলে আপনি পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাই সব তথ্য সঠিক ও নির্ভুলভাবে দিবেন।
৬. ষষ্ঠ ধাপঃ মোবাইল নাম্বার যাচাই (Voter ID Card Check)
আপনি যদি উপরিউক্ত ধাপসমূহ পার হয়ে তাহলে আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) আরও একধাপ এগিয়ে যাবেন। জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার এই ধাপে আপনারা ভোটার তথ্য হালনাগাত করার সময় যে মোবাইল নাম্বারটি দিয়েছিলেন, সেই নাম্বারটি এখন ভেরিফাই করতে বলবে। যদি আপনার কাছে ঐ নাম্বারটি না তাহলে আপনি নাম্বার পরিবর্তনের একটি অপশন পাবেন। আপনি যদি পরিবর্তন করতে চান তো নির্ভয়ে পরিবর্তন করতে পারেন। পরিবর্তন করলে অবশ্যই সচল নাম্বারটি প্রবেশ করাবেন। সেই মোবাইল নাম্বারে একটি OTP Code আসবে। এই জন্যই যে নাম্বারটি আপনারা প্রবেশ করাবেন তা জেনো খোলা থাকে।
আপনার বিদ্যমান মোবাইল নম্বর প্রদর্শিত হয়েছে। আপনি যদি এই মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেন তবে এই নম্বরেই যাচাইকরন কোডটি পাবেন। আপনি চাইলে মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করতে পারেন।
৭. সপ্তম ধাপঃ মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করার ওটিপি কোড যাচাই
এই ধাপে আসার জন্য আপনাকে যেকোন একটি অপশন সিলেক্ট করতে হবে। আপনি যদি আপনার নাম্বার পরিবর্তন করতে চান তো করতে পারেন। আর যদি আপনি পরিবর্তন না করেন তাহলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার এই ধাপে আপনি যদি আপনার মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করেন, তাহলে আপনার নাম্বারটি অবশ্যই জেনো খোলা থাকে। সাবমিট করার পর আপনি কিছুক্ষণ পর OTP Code যা আপনাকে উক্ত সময়ের মধ্যে বসিয়ে পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করতে হবে। আপনি নিচের পিকে তা দেখতে পাবেন।
এই ধাপের সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে নিচের মেসেজটি দেখতে পাবেন। আপনার মোবাইলে ছয় সংখ্যার যাচাইকরন কোডটি পাঠানো হয়েছে । অনুগ্রহ করে কোডটি প্রবেশ করান এবং সামনে অগ্রসর হোন। যদি যাচাইকরন কোডটি না পেয়ে থাকেন তাহলে অনুগ্রহপূর্বক নূন্যতম ১ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং নতুন কোড পেতে পুনরায় পাঠান বাটনে উল্লেখিত সময় পরে ক্লিক করুন।
৮. অষ্টম ধাপঃ ফেস ভেরিফিকেশন
উপরিউক্ত ৭টি ধাপের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন ধাপ এটা, কেননা এই ধাপ কেবল সেই পার হতে পারবে যার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করতে চান। কেননা, এই ধাপে ফেস ভেরিফিকেশন করা হয়। যদি জাতীয় পরিচয় পত্রের চেহেরার সাথে যদি উক্ত ব্যক্তির চেহেরা না মিলে তাহলে পরবর্তী ধাপে আপনি যেতে পারবেন না। তাই কেবল আপনি শুধু আপনার নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করতে পারবেন। এই ধাপে আপনি নিচের লেখাগুলো দেখতে পাবেন।
- আপনার মোবাইল-এ NID Wallet এপ্লিকেশনটি ইনস্টল করুন।
- QR স্ক্যান করে পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করুন।
- যাচাই প্রক্রিয়াটি শেষ হলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে।
যেহেতু আমরা NID Wallet ইন্সটল করেছি প্রথম ধাপেই তাই আর নতুন করে এই ধাপে ইন্সটল করার দরকার নেই। আপনি যদি মোবাইল দিয়ে প্রবেশ করেন তাহলে নিচের পিকের মতো দেখবেন কিন্তু আপনি যদি কম্পিউটার দিয়ে প্রবেশ করেন তাহলে একটি QR Code আসবে। যদি আপনি মোবাইল দিয়ে প্রবেশ করতে চান তাহলে “Tab To Open NID Wallet” ক্লিক করতে হবে। আর যদি আপনি কম্পিউটার দিয়ে প্রবেশ করেন তাহলে QR Code টি NID Wallet অ্যাপটি স্ক্যান করলে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের প্রোফাইলে প্রবেশ করবেন।
এই ধাপটি ছাড়া বাকি সব ধাপ বৃথা হয়ে যাবে। তাই এই ধাপে আপনার ফেস ভাল করে ভেরিফিকেশন করে নিবেন।
৯. নবম ধাপঃ পাসওয়ার্ড সেটআপ (Voter ID Card Check)
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার এই ধাপে আপনি তখনই প্রবেশ করতে পারবেন, যখন আপনি আপনার ফেস ভেরিফাইড করবেন। উপরের ৮ নং ধাপটি কমপ্লিট করার পর আপনাকে ৯ম ধাপে অটোমেটিক ভাবে নিয়ে আসবে। এই ধাপে প্রবেশ করলে আপনি নিচের মতো ওয়েবপেজ দেখবেন। এই পেজে আপনাকে পাসওয়ার্ড সেটআপ করতে বলবে। যেহেতু আপনি আপনি একটি একাউন্ট তৈরি করে প্রবেশ করলেন তাই পাসওয়ার্ড সেটআপ করতে বলছে।
এই পেজে আপনি উপরের মেন্যুতে ডাউনলোড অপশন দেখতে পাচ্ছেন। যা ব্যবহার করে আপনি সরাসরি জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করতে পারবেন পিডিএফ ফরম্যাটে ডাউনলোড করে। যেহেতু আপনি পরবর্তীতে প্রবেশ করবেন তাই পাসওয়ার্ড সেটআপ করে নিবেন।
আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার অ্যাকাউন্টটি সুরক্ষিত করার পরামর্শ দিচ্ছি। আপনি যদি পাসওয়ার্ড ভুলে যান তবে পুনরায় সেট করার জন্য আপনার মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি কোনও পাসওয়ার্ড সেট না করেন তবে আপনার অ্যাকাউন্টে পুনরায় প্রবেশ করতে আপনার এই প্রক্রিয়াটির পুনরাবৃত্তি করতে হবে।
১০. দশম ধাপঃ জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আপনার প্রোফাইল
উপরিউক্ত সকল ধাপ কমপ্লিট করার পর সর্বশেষে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করতে পারবেন। এই ধাপে আপনি মোট ৪টি অপশন দেখতে পাবেন। প্রথমটি আপনার প্রোফাইল, দ্বিতীয়টি রিইস্যু, তৃতীয়টি স্মার্ট এনআইডি কার্ড স্ট্যাটাস এবং সর্বশেষ জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড অপশন দেখবেন। আপনি নিচের মত পিক দেখতে পাবেন।
এই ধাপটি শেষ করলে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। কিভাবে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক smart nid card download bd করতে পারবেন।
Smart NID Status Check – FAQs
স্মার্ট কার্ড চেক করতে কি কি প্রয়োজন?
1. ভোটার আইডি কার্ড নাম্বারঃ ভোটার আইডি কার্ডে আপনি একটি সংখ্যা দেখতে পাবেন। এটি ১০ ডিজিটের একটি সংখ্যা। এ সংখ্যাটিকে ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার বলা হয়ে থাকে। আইডি কার্ড চেক করার জন্য এই নাম্বারটির প্রয়োজন পড়বে।
2. জন্ম তারিখঃ ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বারের পাশাপাশি আরেকটি যে তথ্যর প্রয়োজন হবে তা হলো জন্ম তারিখের। ভোটার আইডি কার্ডের আপনি জন্ম তারিখ লেখা পেয়ে যাবেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার কিভাবে দেখবো?
মোবাইল দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দেখার জন্য মেসেজ টাইপ করুন NID<space>FORM NO<space>DD-MM-YYYY পাঠিয়ে দিন 105 নম্বরে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ফিরতি এসএমএসে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর।
পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড চেক করব কিভাবে?
আমাদের এই আর্টিকেলে দেখানো পদ্বতি অনুসরণ করে আপনি নতুন, পুরাতন যেকোন ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন।
Those who are not yet voters can apply for new voter registration online BD?
আমার নতুন NID Card সন্ধান করবো
এনা আইডি কার্ড হারিয়ে গিয়েছে জন্ম নিবন্ধন আছে এর মাধ্যমে আমি আবারো আইডি কার্ড কিভাবে পাব
আসসালামু আলাইকুম ভাই কেমন আছেন
আমার এন আইডি সংশোধন করবে বলে আমার থেকে১০০০০টাকা নিয়ে আমার সাথে আর যোগাযোগ করেনা
আমি আপনাদের কাছে হেল্প চাচ্ছি।